ই-কর্মাস ব্যবসা

কিভাবে আপনি এই সমস্যা গুলো সমাধান করবেন – ১০ টা টিপস?

আপনি ইতিমধ্যে ব্যবসা শুরু করেছেন কিন্তু যে যে কারণে ব্যবসায় উন্নতি করতে পারছেন না?

কিভাবে আপনি এই সমস্যা গুলো সমাধান করবেন – ১০ টা টিপস?

১। পণ্য নির্বাচনে ভুল করা –
এটা হতেই পারে, থেমে থাকা যাবে না আবার শুরু করতে হবে। তবে মার্কেট রিসারস করে শুরু করলে এই ভুল হবার সম্ভাবনা কম।
২। আরও মূলধন দরকার কিন্তু পাচ্ছেন না –
আপনার আইডিয়া সেল করে ফান্ড নিতে পারেন বা পার্টনার নিতে পারেন।
৩। পণ্য কিনছেন বেশী দামে, তাই লাভ কম হচ্ছে বা লস হচ্ছে –
সোর্সিং টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিনতে লাভ করতে হবে। কয়েকটা সোর্সিং অপসান থাকতে হবে। যদি কিনে বিক্রিতে না পোষায় এবং বিক্রয় চাহিদা থাকে তবে উৎপাদনে যেতে হবে।
৪। সেল বাড়াতে পারছেন না বা সেল পাচ্ছেন না –
আমাদের মার্কেটিং ও সেল বৃদ্ধির উপর যে কয়টা সেশান আছে তা এপ্লাই করুন। নিজেকে ব্রান্ডিং করুন এই প্লাটফর্মে, সেল বাড়বেই। জেলায় আপনার পরিচিতি বাড়ান। আমাদের এই প্লাটফর্মেই অনেক সেল করার সুযোগ আছে, তা কাজে লাগান।
৫। একসাথে অনেক পণ্য নিয়ে শুরু করা –
এটা ব্যবসার শুরুতে করা ঠিক না। ১ টা বা ২ টা পণ্য বা সেবা নিয়ে শুরু করা উচিৎ। কাস্টমার বেজ তৈরি হবার পর আস্তে আস্তে প্রোডাক্ট বাড়াবেন।
৬। কয়দিন পর পর ব্যবসা পরিবর্তন করা –
আজকে একটা করলাম সেটা বন্ধ করে দিয়ে কালকে আরেক শুরু করলাম, আরেকজন বুদ্ধি দিলো আরেকটা শুরু করে দিলাম, এটা করা যাবে না। আগে অল্প কিছু প্রোডাক্ট বা সার্ভিস দিয়ে বাজার তৈরি করতে হবে এবং লং টার্ম প্ল্যান করতে হবে। নিজের পণ্যটাকে আপনার টার্গেট কাস্টমারদের কাছে পরিচিতি করাতে হবে। তার জন্য সময় দিতে হবে। কাস্টমারের আস্থা অর্জন করতে হবে।
৭। ব্যবসা থেকে ১ম বছরে টাকা তুলে ব্যক্তিগত খরচ করা –
এটা করা যাবে না কিছুতেই। তাহলে ব্যবসা কখনো বড় হবে না। আগে কষ্ট করে যেভাবে চলতেন ব্যবসা শুরু করার পরও আরো ২-১ বছর একইভাবে কষ্ট করে চলতে হবে।
৮। পার্টনারদের মধ্যে সমস্যা তাই ব্যবসায় মনোযোগ দেয়া যাচ্ছে না, ভুল পার্টনার নির্বাচন –
পার্টনার নির্বাচন করার আগে তার সাথে ৬-১২ মাস মিসতে হবে চলাফেরা করতে হবে, তাকে চিনতে হবে ও জানতে হবে ভালোভাবে। পার্টনারশিপে একজনকে নেতা মানতে হবে, বেশী বেশী সেক্রিফাইস করতে হবে, ব্যাপক স্বচ্ছতা থাকতে হবে ও সবার সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি কোন ভাবেই পার্টনারশিপ চালানো না যায়, দ্রুত পার্টনারশিপ বন্ধ করে নিয়ে একা কিছু একটা শুরু করতে হবে বা ঐ ব্যবসাটাই কিনে নিতে হবে।
৯। হতাশ হয়ে যাওয়া এবং মনে করা আমাকে দিয়ে আর ব্যবসা হবে না –
আপনি কোন একটা ব্যবসা শুরু করার পর সফল নাও হতে পারেন বা লস করে বন্ধ হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু হতাশ হবেন না বরং কি কি ভুল ছিল আপনার তা চিহ্নিত করুন এবং আবার শুরু করুন। তবে ছোট করে শুরু করবেন যাতে লস করলেও আবার শুরু করতে পারেন। যে জিতবে সে বারবার পড়বে, আবার উঠে দাঁড়াবে – বলবে আমি খেলবো। যে পরার পর উঠে দাড়ানোর চেষ্টা করবে না, সে কোন দিন জিতবে না।
১০। লেগে থাকার মানসিকতা না থাকা –
বিজনেসে কোন শর্টকাট নেই। এটা একটা লম্বা রেস, দ্রুত দৌড়ে দম শেষ করে ফেলা যাবে না।
আমারও এক সময় মনে হতো আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। যেদিন থেকে “লেগে থাকা” টা শিখে গেছি – আর পিছনে ফিরে থাকাতে হয় নি…
এই ১০ টা সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে, আপনার এগিয়ে যাওয়া কেউ থামাতে পারবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *